No metadata available for this post.
Bangalir Itihas Adiparba By Niharranjan Roy
Title: | Bangalir Itihas Adiparba By Niharranjan Roy |
Author: | asf |
Subject: | asdf |
Language: | English |
Total Views: | 40K |
Total Size: | 1023MB |
Pages: | 300 |
Media Type: | Texts Book |
File Extensions: | PDF, EPUB |
Collection: | opensource, community |
Description
Available Downloads:
Related Items
Reviews:

Good book
Fantastic
Engaging and Insightful
This book provides a fascinating perspective and keeps the reader engaged from start to finish. Highly recommended for anyone interested in the subject!বাঙ্গালীর ইতিহাস (আদি পর্ব) – নীহাররঞ্জন রায়: এক কালজয়ী ঐতিহাসিক গ্রন্থ
নীহাররঞ্জন রায়ের লেখা "বাঙ্গালীর ইতিহাস (আদি পর্ব)" বাঙালি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক বিবর্তনের এক অনবদ্য দলিল। এই গ্রন্থটি বাঙালি জাতির আদি থেকে শুরু করে মধ্যযুগ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি সময়কালকে তুলে ধরেছে। এটি শুধু একটি ঐতিহাসিক বিবরণ নয়, বরং বাঙালির সভ্যতা ও সংস্কৃতির গভীর বিশ্লেষণ।
গ্রন্থের রচয়িতা: নীহাররঞ্জন রায়
নীহাররঞ্জন রায় একজন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, গবেষক এবং সাহিত্যিক। তাঁর লেখনীতে মিশে আছে ইতিহাসের প্রতি গভীর অনুরাগ এবং অনুসন্ধানী মনোভাব। "বাঙ্গালীর ইতিহাস (আদি পর্ব)" তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজ এবং বাঙালি জাতির অতীত জানার জন্য একটি অপরিহার্য গ্রন্থ।
বইটির মূল বিষয়বস্তু
"বাঙ্গালীর ইতিহাস (আদি পর্ব)" মূলত বাঙালির জাতিগত গঠন, সামাজিক কাঠামো, ধর্মীয় প্রভাব, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং সাংস্কৃতিক বিবর্তনকে বিশ্লেষণ করে। বইটি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে বিভক্ত:
১. জাতিগত গঠন ও উদ্ভব
- বাঙালি জাতির উদ্ভব নিয়ে বহু তর্ক এবং মতবিরোধ রয়েছে।
- গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে বাঙালির জাতিগত গঠন বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির সংমিশ্রণ।
- আদি অস্ট্রিক, দ্রাবিড়, এবং আর্য জাতির মেলবন্ধনে গড়ে ওঠা বাঙালি জাতির শিকড় বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
২. সমাজ ও সংস্কৃতি
- প্রাচীন বঙ্গের সমাজব্যবস্থা এবং সামাজিক শ্রেণিবিন্যাসকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
- গ্রন্থে দেখা যায় কিভাবে হিন্দু, বৌদ্ধ, এবং পরে ইসলামের প্রভাব বাঙালির সংস্কৃতিকে গভীরভাবে রূপান্তরিত করেছে।
- বাংলা ভাষার উৎপত্তি এবং বিকাশের ধারাও এতে বিশদভাবে বর্ণিত।
৩. অর্থনীতি ও রাজনীতি
- কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
- বিভিন্ন সময়ে বাঙালির উপর স্থানীয় রাজাদের শাসন এবং বাইরের শক্তিগুলোর প্রভাব আলোচনা করা হয়েছে।
বইটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য
- গভীর গবেষণাধর্মিতা:
নীহাররঞ্জন রায় ইতিহাসের বিভিন্ন দিক নিয়ে গভীর গবেষণা করেছেন। প্রত্নতত্ত্ব, সাহিত্য, এবং ধর্মীয় উৎসের উপর ভিত্তি করে তিনি বাঙালির অতীত তুলে ধরেছেন। - পাঠযোগ্যতা:
যদিও বইটি একটি গবেষণাধর্মী গ্রন্থ, তবুও এর ভাষা সহজ এবং প্রাঞ্জল। এটি শুধুমাত্র গবেষক বা ইতিহাসবিদদের জন্য নয়, সাধারণ পাঠকের কাছেও সমান জনপ্রিয়। - সংস্কৃতির বিশ্লেষণ:
বাঙালির খাদ্যাভ্যাস, পোশাক, আচার-আচরণ এবং ধর্মীয় উৎসবের বিবর্তন এই গ্রন্থে বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
বইটির গুরুত্ব
নীহাররঞ্জন রায়ের "বাঙ্গালীর ইতিহাস (আদি পর্ব)" শুধু ইতিহাস নয়, এটি বাঙালির অস্তিত্ব এবং পরিচয়ের অনুসন্ধান। এই গ্রন্থটি পড়ে একজন পাঠক সহজেই বুঝতে পারেন বাঙালির জীবনধারার পরিবর্তন, তাদের সংগ্রাম, এবং তাদের অনন্য সংস্কৃতি।
উপসংহার
"বাঙ্গালীর ইতিহাস (আদি পর্ব)" এমন একটি বই, যা বাঙালি জাতির শিকড় এবং ঐতিহ্যকে জানতে আগ্রহী প্রতিটি পাঠকের পড়া উচিত। এই গ্রন্থটি আমাদের অতীতকে জানার পথ দেখায় এবং আমাদের নিজেদের পরিচয় সম্পর্কে সচেতন হতে সাহায্য করে।
আপনার জন্য প্রশ্ন:
নীহাররঞ্জন রায়ের এই গ্রন্থটি পড়ার সময় আপনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? বাঙালির ইতিহাস নিয়ে আপনার প্রিয় কোনো অংশ থাকলে মন্তব্যে জানান!